ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের (নৌকা প্রতিক) এর নির্বাচনী ইসতেয়ার ঘোষনা করেছেন।
সোমবার শহরের সরকারী পাইলট স্কুল এলাকায় নৌকা প্রতিকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৬ জানুয়রী শনিবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে এ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনী ইসতেহারে মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম বলেন, শৈলকুপা পৌরসভার উন্নয়নে আমি অলীক স্বপ্নে বিশ্বাসী নই, বাস্তব স্বপ্ন পূরনে বিশ্বাসী। তিনি শপথ ও অঙ্গীকার করে বলেন, আমি দূর্নীতি করব না এবং কাউকে দূর্নীতি করতে দেবনা। দলমত বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করব।
এ পৌরসভার পথে ঘাটে রাস্তায় কোনো পানি জমতে দেবনা। জলাবদ্ধতা নিরসন করব। পৌরসভার ছোট বড় সকল রাস্তা উন্নয়নের আওতায় আনা হবে। পৌর এলাকায় বিদ্যুতের লোড শেডিং হবে না। যানজট নিরসনের লক্ষে পৌরসভার রাস্তা সমুহ সংস্কারসহ প্রয়োজনে আরো নতুন রস্তাা নির্মান করা হবে।
শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও যানজট নিরসনের জন্য কুমার নদের উত্তর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা তৈরী করা হবে।
পৌরসভার প্রতি ইঞ্চি ভূমি উন্নয়নের আওতায় আনা হবে। দিনের বেলা কোন ময়লা আবর্জনা রাস্তায় থাকতে দেয়া হবে না এবং নিজে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর তদারকি করবো। কোন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে ডাষ্টবিন থাকবে না।
পৌরবাসীর জন্য ২৪ ঘন্টা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। পৌরবাসীর জন্য একটি বিনোদন পার্ক, ১টি শিশু পার্ক ও অডিটোরিয়াম তৈরি করা করা হবে। এ শহরকে আধুনিক বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। একটি নতুন কবরস্থান, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ নির্মান করা হবে।
এ ছাড়াও একটি পৌর আধুনিক চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় পাবলিক টয়লেট নির্মানসহ মাদকমুক্ত শহর গড়ে তোলা হবে।
পানির বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স ও যাবতীয় বিল পুন:বিবেচনা করা হবে জাতীয়, চারিত্রিক, নাগরিক, জন্মÑমৃত্যু এবং ওয়ারিসসহ অন্যান্য সনদপত্র বিনা পয়সায় সরবরাহ করা হবে। শৈলকুপা পৌর শহর সম্পূর্ণভাবে সিসি ক্যামেরা এর আওতায় আনা হবে।
এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার জাহান বাদশা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নায়েব আলী জোয়ার্দার, শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আক্তার পলাশ সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্র নেতা রেজাউল ইসলাম রাজু।