ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষক রিপন(২৮) হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে রিপনের মেজো ভাই নান্নুর স্ত্রী ফরিদা খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ জবানবন্দী প্রদান করেন। এ ঘটনায় রিপনের মেজো ভাই নান্নু পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। রিপন ১২ নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চর রুপদহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ^াসের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শিহাব উদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড। রিপনকে তার মেজো ভাই নান্নু ও নান্নুর স্ত্রী ফরিদা খাতুন উভয়ে মিলে এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে আদালতে স্বীকার করেন আটক নান্নুর স্ত্রী। তারা হত্যার পর বাড়ির পাশের ডোবার কাদায় রিপনের মরদেহ পুতে রাখে বলে স্বীকার করে।
গত ৯ই ডিসেম্বর বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশ^বর্তী মাঠে জমিতে কেটে রাখা ধান পাহারা দিতে যায় রিপন। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ঘটনাটি জানাজানি হলে তার জমি থেকে রিপনের ব্যবহৃত মোবাইল ও গায়ের চাদর উদ্ধার করে স্বজনরা। এরপর বুধবার ভোরে নিখোঁজের ৭ দিন পর ডোবায় কাদা চাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।