ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩০টি বাড়ি ভাংচুর ও ৩ ব্যক্তি আহ হয়। ঘটনাটি শুক্রবার সকালে উপজেলার ১৪নং দুধসর ইউনিয়নে দুধসর গ্রামে। পুলিশ সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুধসর গ্রামে নৌকা মার্কার বিজয়ী চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সাবুর চাচা বাবলু ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সকালে নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ার অভিযোগে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরে ঘটনা ঘটায়। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, কালাই জোয়ার্দ্দার, সাত্তার সর্দার, আবু তালেব সর্দার, শরিফুদ্দিন জোয়ার্দ্দার, নুরুল মোল্যা, মিজারুল ইসলাম, আমজাদ মোল্যা, মনিরুদ্দিন মোল্যা, মফিজুল মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান সহ ৩০ বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বাবলু জোয়ার্দ্দারের দোকান, সিরাজ জোয়ার্দ্দারের দোকান, বাটুল জোয়ার্দ্দারের দোকান সহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব জোয়ার্দ্দারের ছোট ভাই আয়ুব জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, গত দুই বছর আগে তাদের সমর্থক শহীদ শেখ আহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলাটি তুলে নিতে ভোটের পর থেকে বাবলুর সমর্থকরা শহীদ শেখের উপর হুমকি দিতে থাকে। মামলা তুলে না নেওয়ায় তারা শুক্রবার সকালে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
প্রতিপক্ষ বাবলু বলেন শুক্রবার সকালে নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের সমর্থকরা তাদের সমর্থক কালাই জোয়ার্দ্দারের বাড়িতে ও বাগদী পাড়াই নৌকার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাইদ সাহ, নিরঞ্জন বাগদী ও গৌরী বাগদী আহত হয়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে দুধসর গ্রামে দু-দল গ্রামবাসী একে অপরের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ হামলাকরীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩৮ রাউন্ড রাবা বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন। এলাকাটি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।