শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রার্থীসহ ২ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তার জের ধরে ৮নং ওয়ার্ডের পুরুষ কাউন্সিলরদের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মতায়েন করা হয়েছে।
ভোট চাইতে গিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন ওরফে বল্টু (৫০) ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। নিহত বল্টু ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিল। ঘটনাটি গত বুধবার রাত ৯টার দিকে পৌর এলাকার কবিরপুরের ভূইমালী পাড়াতে।
এলাকাবাসিরা জানান, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন ও তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু পৌর এলাকার কবিরপুরের ভূইমালী পাড়াতে যান তার ভাই পক্ষে নির্বচনী প্রচারণা চালাতে।
এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জাবী মার্কার আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হামলায় বল্টুর ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন আহত হন।
হামলার পর গুরুতর আহত বল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন জানান, আমার ভাইকে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী পাঞ্জাবী মার্কার আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী জানান, নিহত লিয়াকত হোসেন ও তার বড় ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী।
শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার আমিরুজ্জামান বলেন, ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে বল্টু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছে। এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই নিহত হওয়ার ৫ ঘন্টা পর একই ওয়াডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগির হোসেন বাবুর মরদেহ শৈলকুপার কুমার নদের দেবতলা নামক স্থান থেকে পুলিশ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানান শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার আমিরুজ্জামান।
নিহত কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগির হোসেন বাবুর স্ত্রী ইতি খাতুন অভিযোগ করেন আমার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে ৮নং ওয়ার্ডের পুরুষ কাউন্সিলরদের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বলে জানান, উপজেল সহকারী রিটারনিং অফিসার জুয়েল আহাম্মেদ। এব্যপারে শৈলকুপা থানা তদন্ত অফিসার মহসিন হোসেন জানান, এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মতায়েন করা হয়েছে।