ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মা কালী মূর্তি ভাংচুর মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তবে এখনও পলাতক রয়েছে প্রধান পরিকল্পনাকারী ও ইন্ধনদাতা শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস। তার ইন্ধনে গ্রেফতারকৃতরা কালীমূর্তি ভাংচুর করা হয় বলে পুলিশী তদন্তে উঠে এসেছে।
রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান গনমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর রাতে শৈলকুপা উপজেলার ডাউটিয়া গ্রামে শতবছরের পুরোনো কালীমন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন মন্দির কমিটির সভাপতি সুকুমার মন্ডল বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট গত ১২ অক্টোবর শৈলকুপার উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কুশাবাড়ীয়া গ্রাম থেকে এস এম আরব আলীর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান হিরোকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক চাচাতো ভাই একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ ও পাঞ্জাবী আলী খানের ছেলে তুষারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশেরে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস ও জিনারুল গড়াই নদীতে নৌকায় ১৫/১৬ জন যুবতী মেয়ে নিয়ে অশ্লীল নাচ ও জুয়া খেলার আয়োজন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, সাউন্ডবক্সসহ ২ টি ট্রলার জব্দ করে।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয় শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস। পুলিশকে বিতর্কিত ও শায়েস্তা করতে কালীমূর্তি ভাংচুরের পরিকল্পনা করে সে। যা বাস্তবায়ন করে গ্রেফতারকৃত ৩ জন। তবে এখনও পলাতক রয়েছে প্রধান পরিকল্পনাকারী দিনার বিশ্বাস।