দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে অথচ ঝিনাইদহের শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের রাস্তা নির্মাণ সামগ্রীতে পাহাড় সমান ইস্তু হয়ে আছে। ফলে স্কুল খোলার প্রথম দিনেই শিশু শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এসব বিষয় নিয়ে কর্তপক্ষের কোন নজরদারি নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেনার উপায় নেই সেই চিরচেনা স্কুল। পুরা খেলার মাঠ জুড়েই বালু , ইট, খোয়া আর বিভিন্ন ভারী গাড়ির সমাহার। ভারী যানবাহনে বিভিন্ন জায়গা থেকে নির্মাণ সামগ্রী এনে পাহাড়ের মত উচু করে রাখা হয়েছে আবার এই সব নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সড়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একদিকে স্কুল মাঠে চলাচলের যেমন অসুবিধা আবার চরম ঝুকিনিয়ে স্কুলে আসছে শিশুরা। যে কোন সময় বড়ধরণের দূর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা।
ধলহরাচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানা জানান, তার স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক। করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় দখলে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। ঘটনাটি তিনি উর্ধ্বেতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, স্কুল ক্যাম্পাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্মান সামগ্রী রাখার ঘটনাটি তিনি ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্রুতসরিয়ে নেবে বলে আশ^াস দিয়েছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমান মাসুম বলেন তিনি ঢাকাতে আছেন স্কুলে মালামাল রাখার ব্যপারে কিছ ুজানেন না।
উল্লেখ্য ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের শেখপাড়া ভায়া শৈলকুপা ভায়া লাঙ্গলবাধ ২৬ কি.মি সড়কের নির্মানের কার্যাদেশ পান মিজানুর রহমান এন্ড মাইনুদ্দিন বাঁশি জেভি। সড়কটি নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে শত কোটি টাকা।