মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনে ইসির শোকজের উত্তর দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান এবং ডা. অলোক কুমার দাস।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ২৪ ডিসেম্বর এই দুজনকে শোকজ করেছিল জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
আজ বুধবার ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় ডা. অলোক স্বশরিরে এবং দুপুর ১২ টায় আব্দুল মান্নান তার আইনজীবীর মাধ্যমে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে শোকজের উত্তর দেন।
সকাল সাড়ে দশটায় ডা. অলোক মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের খাস কামরায় উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এবং দুপুর বারোটার সময় প্রফেসর আব্দুল মান্নানের আইনজীবী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মিয়াজান আলী শোকজের উত্তরে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ডা. আলোক কল রেকর্ডের সত্যতা প্রমাণে একজন সাক্ষী হাজির করেছিলেন। এছাড়া তিনি বলেছেন তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি। এমনকি কোন রাজনৈতিক প্রচারণাও করেননি। কোন নেতার জন্য ভোট চাননি। চিকিৎসা পেশায় সংযুক্ত থাকার কারণে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরাদ হোসেনের এবং তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তিনি চিকিৎসা করেন। সেই সূত্রে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনে তার যাতায়াত।
অপরদিকে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘ডা. অলোকের সাথে তার পরিচয় দীর্ঘদিনের। সেই সূত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই তাকে কল দিয়েছিলাম। কিন্তু কারো অজান্তে কল রেকর্ড করে সেটা প্রকাশ করা অপরাধ। ডাক্তার অলোক সরকারি চাকরিজী অমান্য করে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অন্যায় ভাবে জড়িত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন স্থানে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে নির্বাচনী প্রচারণা করতে যেয়ে আমাকে ভারতের দালাল বলেছেন। এজন্যই কথা প্রসঙ্গে ভারতের কথাটা এসেছিল। নির্বাচনী আচরণ বিদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তবে যদি ভুলবশত কোন কারনে আমার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমি নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা প্রার্থী।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ডা. অলোক ও প্রফেসর মান্নানের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে বিষয়টি দৈনিক কালবেলা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।