আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহেরপুরের পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।
আজ সোমবার বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের কাছে তিনি শোকজের উত্তর দিয়েছেন।
এ সময় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও তার পরিবার নিয়ে কটুক্তি অভিযোগ অস্বীকার করেন। শোকজের লিখিত উত্তরে তিনি বলেছেন আমি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে পৌরসভার কাজে বিভিন্ন এলাকায় গেছি। নির্বাচনী প্রচারণার কোনো কাজে আমি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করি নাই। এছাড়াও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও তার পরিবারকে নিয়ে কটুক্তির যে আনা হয়েছে সেটা মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যের ভিডিও বিকৃত করে ছড়ানো হয়েছে। তবে আগামীতে তিনি আরো সতর্ক থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ ডিসেম্বর শনিবার মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন তাকে শোকজ করেন।
লিখিত অভিযোগে বাবলু বিশ্বাস বলেছিলেন, মেহেরপুর-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন, তাঁর সহধর্মিনী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, ভাই শহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল ও ভগ্নিপতি মো: আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসদের উদ্দেশ্য করে ব্যক্তিগত চরিত্র হেয় করতে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন পৌর মেয়র রিটন । তিনি আরো অভিযোগ করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনকে দুর্নীতিবাজ, উন্নয়নকাজে বাধাদানকারী হিসেবে উল্লেখ করে তাকে ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি প্রদান করেছেন।