ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল বুধবার (৮ মে) মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
এই দুটি উপজেলাই গতকাল সোমবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভোটকেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৫৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ৬০৫ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
সদর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০৪ জন ভোটার। মোট ভোটারের মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ এবং ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ জন নারী ভোটার ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আব্দুল মান্নান (ঘোড়া), অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ), আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) এবং মোঃ হাসেম আলী (আনারস) ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবুল হাসেম (চশমা), মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল) এছাড়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা ), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস), রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক। তবে, বিএনপি প্রার্থী রোমানা আহমেদ ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।
এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমাম হোসেন মিলু (আনারস), কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), রফিকুল ইসলাম (কাপ প্যারিচ) , এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের লড়ছেন।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন(কলস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৪-৫ জন করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ১৩-১৮ জন করে আনসার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।