চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার সতের বছরেও পায়নি প্রয়োজনীয় জনবল। আগের ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে কার্যক্রম। ১০০ শয্যা অনুযায়ী ৪২ জন চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমানে ডেপুটেশনে আসা ৪ চিকিৎসকসহ কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। এতে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, বর্তমানে ৫০ শয্যার বিপরীতেই মেডিসিন, ইএনটি, চর্ম ও যৌন, অ্যানেসথেসিয়া ও চক্ষুসহ পাঁচজন কনসালটেন্টের পদ খালি আছে। পূরণকৃত পদের মধ্যে ৪ জন ডেপুটেশনে এসে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা স্বপদে ফিরে গেলে চিকিৎসক সংকট আরো বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। সে হিসেবে এ হাসপাতালে ৪২ জন চিকিৎসক ও ১০৮ জন নার্স-কর্মকর্তা-কর্মচারী পাওয়ার কথা। যার মধ্যে একজন তত্ত্ববধায়ক, ১০ জন সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ১১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও), ৬ জন মেডিকেল অফিসার, ১১ জন সহকারী সার্জন, ১ জন ডেন্টাল সার্জন ও ১ জন মেডিকেল অফিসার (হোমিও) পদ থাকার কথা।
কিন্তু হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার সতের বছরেও এর প্রয়োজনীয় জনবলের অনুমোদন পাইনি। ১০০ শয্যার অনুকূলে চিকিৎসকসহ জনবল অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দফায় দফায় পত্র দেওয়া হলেও কার্যত কোনো লাভ হয়নি।
এদিকে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৫০ শয্যার নতুন একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ১০ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। তবে এখানে অতিরিক্ত কোনো নার্স পাওয়া যায়নি। এছাড়া, সিভিল সার্জন, আরএমও এবং মেডিসিন কনসালটেন্ট পদে দায়িত্বরতরা হাসপাতালের পাশাপাশি করোনা বিভাগে বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বারবার যোগাযোগ করেছি। তারাও একাধিকবার প্রয়োজনীয় জনবলের তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
বর্তমানে বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে অর্থ-মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ সাপেক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।