আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামে সরকারি জমির ওপর বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের ভাগ্যিমানের বিরুদ্ধে। তিনি আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করেই সরকারি জমিতে রীতিমত বাড়ি বানিয়ে ফেলেন। দিনে দিনে বাড়ি বানিয়ে ফেললেও সরকারের কেউ দেখছেন না বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের ভেটেরিনারীর সামনের সরকারি জায়গায় বাড়ি বানিয়ে প্রায় শেষের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন একই গ্রামের মৃত ইয়াছিন মালিথার ছেলে ভাগ্যিমান মালিথা। আজ বুধবার বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, জায়গাটি সরকারি নয় দাবি করে ভাগ্যিমান আদালতে ওই জমির একটি দলিলও দাখিল করেছেন বলে জানান। তবে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষ না করেই তিনি ওই জমিতে বাড়ি বানানো শুরু করেন এবং দিনে দিনে বাড়িটি ছাদ পর্যন্ত উঠে যায়। এখন ঢালাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। বুধবার সেই ঢালাইয়ের কাজও সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা সরকারি জায়গায় অবাধে বাড়ি বানানো দেখে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেছেন, সরকারি জমিতে এতবড় একটি বাড়ি হয়ে গেল কিন্ত দেখার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে ভাগ্যিমানের ছেলে শাহিনুর রহমান জানান, আমার দাদা মৃত ইয়াছিন মালিথা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী ছিলেন। জায়গাটি আমার দাদা এক হিন্দু মালিকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। কিন্ত সরকারের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল। দলিলও হারিয়ে গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুজির পর আমরা দলিল পেয়েছি। সেই দলিল আদালতে দাখিল করেছি।
কোন হিন্দু মালিকের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন জানতে চাইলে তিনি জমির মালিকের নাম বলতে পারেননি।
আদালতের সিদ্ধান্ত না জেনেই কেন বাড়ি বানিয়ে ফেললেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরে আপনার সাথে কথা বলব।