সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরের বাজারগুলোয় বেড়েই চলেছে আলুর দাম। বুধবার মেহেরপুরের কাঁচাবাজার এবং আড়ৎ গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা পাইকারী এবং ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা আর হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
মেহেরপুরের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কোনরকম সরকারি নোটিশ তাদের কাছে পৌঁছায়নি।
মেহেরুল নামের এক ক্রেতা জানান, সরকার যদি ৩০ টাকা কেজি আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়ে থাকে তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত মাঝে মাঝে বাজার গুলোতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা উচিত যাতে কোন অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে।
পাইকারি ব্যবসায়ী নবাব জানান, এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি নোটিশ পাইনি যদি পাই তাহলে আমাদের সেই মোতাবেক আলু বিক্রি করতে হবে।
তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি আবু হানিফ ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’কে জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক হিমাগার থেকে ২৩ টাকায় আলু কিনে ২৫ টাকায় পাইকারি বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের লাভাংশ থাকবে না কারণ বাইরে থেকে আলু কিনে মোটা অংকের গাড়ি ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ আছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে একজন চাষির প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা সেই সূত্র ধরে হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকা করতে হবে, পাইকারী পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মাদ মুনসুর আলম খান জানান, এ ব্যাপারে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে সরকারি চিঠি পেয়েছি। নোটিশটি আলু ব্যবসায়ীদের কাছে প্রেরণ করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে ভারাপন দেওয়া হয়েছে। আশা রাখছি বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।