এশিয়ান ট্যুরের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত বছর শেষে অর্ডার অব মেরিটের সেরা ৬৫তম স্থানে থাকা গলফাররাই সরাসরি খেলার সুযোগ পান। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশের গলফের পোস্টারবয় সিদ্দিকুর রহমান। কারণ এবার তিনি বছরটা শেষ করেছেন ৯১তম হয়ে। এটা সিদ্দিকুর রহমানের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স।
এজন্য আগামী বছর চাইলেই সরাসরি তিনি এশিয়ান ট্যুরের কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না তিনি। তবে এটা সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা নির্ভর করছে ৩৯ বছর বয়সী সিদ্দিকুর যদি আয়োজকদের কাছ থেকে ওয়াইল্ডকার্ড পান তাহলে খেলতে পারবেন।
২০১০ সালে ব্রুনাই পেন জয়ের পর থেকে আর কখনো এশিয়ান ট্যুর মিস করেননি। ১৩ বছরে বিভিন্ন দেশের ১২টা খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন সিদ্দিকুর, যোগ্যতার বলে। এবার প্রথম ট্যুর কার্ড হারালেন তিনি। এশিয়ার বড় মঞ্চ থেকে ছিটকে গেলেন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত তাইওয়ান গ্লাস তাইফং ওপেনের দুই রাউন্ড শেষে যুগ্মভাবে শীর্ষে থাকলেও সিদ্দিকুর শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারেননি। খেলা শেষ করেছেন ২১তম স্থান হয়ে। শেষ দুই রাউন্ডে সিদ্দিকুর খুব বাজে খেলেছেন। সেটাই সিদ্দিকুরের জন্য খারাপ সংবাদ কিংবা দেশের গলফের জন্য বাজে সংবাদ আনল।
আগামী বছরটা কেমন যাবে, তা নির্ভর করছে সিদ্দিকুর কতটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন তার উপর। এশিয়ান ট্যুর ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন যেটা চলে গেছে সেটা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। ট্যুর কার্ড নিয়ে ভাবলে উলটো চাপে পড়ে যাবেন। চাপ নিতে চাইছেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমি ট্যুরকার্ড নিয়ে চাপ নিতে চাই না। আপাতত খেলাটা উপভোগ করতে চাই।’