বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা পরিহার করে সবাইকে শান্তির ধর্ম ইসলামের পথে দিকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা পছন্দ করে না ইসলাম। নিরীহ মানুষকে যেন হত্যা না করা হয়।
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে এ আহবান জানান তিনি। এসময় দেশের তরুণ প্রজন্ম যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকে সম্পৃক্ত না হয়, সেদিকে ইমামদের দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দেন। ‘৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন এবং জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ-২০২৩’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না, সেটা আমরা বিশ্বাস করি। কোনো ধরনের সন্ত্রাস যেন না হয়। তৃণমূল পর্যায়ে যেন শান্তি থাকে, সেটাই চাই। আমরা শান্তি চাই। অশান্তি বা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জানি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সহনশীল ধর্ম। এটা আমাদের নবী শিখিয়েছেন। তার বিদায় হজের বাণী আমরা অনুসরণ করি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকে সম্পৃক্ত না হয়, আপনারা (ইমাম) সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘এই বাংলাদেশে অন্যান্য ধর্মের লোকও আছে। তারাও যেন নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে পারে। কেউ যদি অন্যায় করে, আল্লাহ বিচার করবেন। আমরা বলতে পারি না, কে মুসলমান, কে মুসলমান না।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনাদের দোয়া চাই। সারা বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ চলছে ফিলিস্তিনে তাদের ওপর যে আক্রমণ, ছোট্ট শিশুদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে আমরা আর তা চাই না। ফিলিস্তিনে বাংলাদেশ থেকে সহায়তা পাঠিয়েছি। পৃথিবীর সব রাষ্ট্র প্রধানদের আমি অনুরোধ করেছি যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নিতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের হাজিরা যেন কষ্ট না পায়। হজের ইমিগ্রেশন সহজ করতে ব্যবস্থা নিয়েছি। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছি। ৩৫ হাজার মসজিদে পাঠাগার করে দিয়েছি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি। ওলামারা বিপদে পড়লে সহযোগিতা নিতে পারে। যাকাত তহবিল প্রণয়ন আইন করেছি।
এর আগে ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান উপস্থিত ছিলেন।