“সাংবাদিকদের মান উন্নয়নের জন্য প্রেস কাউন্সিল বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে সাংবাদিকদের ডাটাবেইস তৈরি কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৩২টি জেলা থেকে সাংবাদিকদের তালিকা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত বাকি জেলাগুলো থেকেও আমরা তালিকা পেয়ে যাব। একই ভাবে আমরা সকল মিডিয়া হাউসগুলো থেকেও সাংবাদিকদের তালিকা চেয়েছি। যাতে করে সাংবাদিকদের নিজস্ব একটা পরিচয় তৈরি হয়।”
আজ বুধবার মেহেরপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে “গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, “জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস কাউন্সিল গঠণ করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন, তিনি চাইতেন না কোন সাংবাদিকের হাতে যেন হাতকড়া না পড়ে। তিনি বলতেন, একজন সাংবাদিক সমাজের যে কোন শ্রেণীর থেকে উচ্চতর শ্রেণীর। ওই সময় ম্যাজিষ্ট্রেটদের থেকে সাংবাদিকদের বেতন বেশি ছিলো।”
চেয়ারম্যান বলেন, “প্রেস কাউন্সিলে নতুন কেউ তালিকাভুক্ত সাংবাদিক হতে চাইলে তাকে স্নাতক পাশ হতে হবে। তবে কারো যদি সাংবাদিকতায় ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকে সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল থাকবে।
মিডিয়া হাউসগুলো যাতে করে ওয়েজবোর্ড মেনে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেয় সে ব্যাপারে আমরা তাদের বলেছি এবং একই সঙ্গে তারা যদি এ নির্দেশনা না মানে তাহলে তাদের সুবিধাদি বন্ধ করার জন্য সরকারকেও আহবান জানিয়েছি। আমরা আশা করছি ক্রমে এগুলো বাস্তবায়ন হবে।”
প্রেস কাউন্সিল আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা কিছু সংশোধনী নিয়ে এসেছি। খুব শিঘ্রই সংসদে এ আইন পাশ হবে। বিদ্যামান আইনে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বদলে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।”
মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুঃ তানভীর হাসান রুমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। স্বাগত বক্তব্যে দেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন, চ্যানেল ২৪ প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান, আরটিভি প্রতিনিধি মাজেদুল হক মানিক, সময় টিভি প্রতিনিধি বেন ইয়ামিন মুক্ত। সেমিনার জেলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৬০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।