অবৈধভাবে ৮ সাংবাদিক এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের সূত্র ধরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সময় দিয়েও শেষ পর্যন্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ডিইউজে নেতারা।
আজ বিকেল ৩টায় এসএটিভির গুলশান কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এসএটিভিতে কর্মী ছাঁটাই এবং ৮ সংবাদ কর্মীকে শুধুমাত্র কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে চাকরিচ্যুতির কারণে অসন্তোষ দেখা দেয় কর্মীদের মধ্যে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতারা গত মঙ্গলবার সেখানে আলোচনার জন্য যান। তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বুধবার বিকেল ৩টায় তাদের সাথে আলোচনায় বসার কথা জানান।
এদিকে, এসএটিভির কর্মীরা জানান, গত সেপ্টেম্বরে ৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবি তোলায় সালাহউদ্দীন আহমেদ সহ ৭ সংবাদকর্মীকে তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুতি করেন।
এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সবাই। সে সময় মালিকপক্ষ ডিইউজে এবং এসএটিভির কর্মীদের সাথে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং কর্মী ছাঁটাই বন্ধে ১৩ দফার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কিন্তু ওই চুক্তির তোয়াক্কা না করে বেতন না দেয়া, বিভিন্ন বিভাগে ছাঁটাইসহ নানা অনিয়ম শুরু করায় আবারো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই।
প্রোগ্রাম বিভাগের ১০ জনকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ করায় ৮ সংবাদকর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে তাদেরকে এসএটিভিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন এবং বহিরাগতদের নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ।
এতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মালিকপক্ষ এবং হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল আন্দোলনকারীদের অনেককে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়ার ফলে অনেকে নিরাপত্তা চেয়ে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়রিও করেন।
নানা অপকর্ম আর সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার চক্রান্তের সাথে জড়িত হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সালের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ১৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক-কর্মচারী গণস্বাক্ষর করায় দিনভর তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। হেড অব নিউজ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে এই হুমকি দেন।
এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে ডিইউজে এবং এসএটিভির কর্মীরা।
-নিজস্ব প্রতিনিধি