ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য কাজী মুহা. আফিফুজ্জামানকে (কাজী সোহাগ) সংবাদ প্রকাশের জেরে তলবের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ।
গতকাল মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ কর্তৃক কাজী সোহাগকে হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়ার ঘটনায় এ নিন্দা জানান।
নেতারা বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে পুলিশ প্রশাসন কোনো সাংবাদিককে এভাবে তলব করতে পারে না। তারা কর্তৃপক্ষ বা আদালত নন। এটি অগ্রহণযোগ্য। সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।
জানা যায়, ‘চোরাই স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে’ এই শিরোনামে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানবজমিন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট করেন কাজী সোহাগ। এর প্রেক্ষিতে তাকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ৩ এপ্রিল হাজির হতে একটি নোটিশ দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা যাচাই ও অনুসন্ধানের জন্য সাক্ষীকে (কাজী সোহাগ) চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদের কার্যালয়ে হাজির করার অনুরোধ করা হল।
কাজী সোহাগ জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশের দেওয়া চিঠির ভাষা মার্জিত মনে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, পুলিশ এভাবে চিঠি দিতে পারে না। এটা স্রেফ হয়রানি বলে মনে করি।
ডিআরইউ নেতারা বলেন, কোনো সাংবাদিক তার প্রতিবেদনের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নন। ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সাংবাদিককে তার সংবাদের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে বলে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫১ পাতার রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেন।
তারা বলেন, কাজী সো হাগকে সংবাদ প্রকাশের জেরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নোটিশ স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। এ ধরনের নোটিশ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী। অবিলম্বে এ নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা।