দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৮দিন পার হলেও এখনও অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইওে রয়েছে।
হামলার দিন দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা! এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ডিসেম্বর দামুড়হদা প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি এম.নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুলসহ নেতৃবৃন্দ প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যায়। এসময় প্রেস ক্লাবের সদস্য সালাউদ্দিনের সাথে দেখা করতে যায়। এসময় প্রেস ক্লাবের যগ্ম-সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে দেখা হলে কথা বলতে থাকে।
যুগ্ম-সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্থানীয় ঐ সাংবাদিক কার্পাসডাঙ্গা বাজার মোড়ে সিদ্ধ ছোলা খাচ্ছিলো, সে সময় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের সুকলালের ছেলে সোহাগ ও বিল্লালের ছেলে বখতিয়ার রহমান বকুল কাঠের হকস্ট্রিক দিয়ে হামলা চালায় হাবিবের উপর।
এঘটনায় গুরুত্বর জখম হয় হাবিবুর রহমান হাবিব। পরে প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ হাবিব কে গুরুত্বর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঐ রাতেই হাবিব বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে । তবে এ ঘটনায় একটি চক্র অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি এম নুরুন্নবী বলেন, আমরা নব-নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ কার্পাসডাঙ্গার সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যায় ।
এসময় কোমরপুর গ্রামের সুকলালের ছেলে সোহাগ ও বিল্লালের ছেলে বখতিয়ার রহমান বকুল হাবিরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
ঐদিন রাতেই দামুড়হদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে অজানা কারণে একনো পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড হয়নি।
তাই আজ রোববার দামুড়হদা প্রেস ক্লাবের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। জরুরি বৈঠক শেষে আমরা কর্মসূচি দেবো। এ বিষয়ে দামুড়হদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল খালেক বলেন, এটি মামলা হওয়ার মতো বিষয় না ।
ওদের একে অপরের ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলার জন্য হয়তো হাবিব কে মারপিট করেছে। তবে আমরা বিষয়টি ততটা পরিষ্কার না।