জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সূচকে ইসরাইলকে টপকে ৩২তম অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়া কিংবা সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত অবস্থায় আছে দেশের সাইবার আকাশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্সে (এনসিএসআই) গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিক উন্নয়নে এবার নিজেদের অবস্থান এগিয়ে নিয়েছে ছয় ধাপ।
দেশে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করা বিজিডি ই-গভ সার্টর প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বাংলাদেশের এ উন্নতি সম্পর্কে বলেন, ধারাবাহিক এ অর্জন সাইবার নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতিফলন, যা ভবিষ্যতে আরও দক্ষতার সঙ্গে সাইবার হামলা প্রতিহত করতে কেবল উৎসাহিতই করবে না বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি সাইবার সুরক্ষিত জাতি হিসাবেও প্রতিষ্ঠা করতে যুগপৎ ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গক্রমে, নিয়মিত সাইবার ড্রিল বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে গতবারই ইসরাইলকে টপকে যাওয়ার স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখেছিল বলেও জানান এ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
এর আগে ২০২০ সালে ৮ ধাপ এগিয়ে ৭৩তম স্থান থেকে ৬৫তম স্থানে উন্নীত হয় বাংলাদেশ। এরপর এক ধাক্কায় ২৭ ধাপ এগিয়ে ২০২১ সালে ৩৮তম অবস্থান দখল করে সার্কভুক্ত দেশের শীর্ষে উঠে আসে। এবার বছরের শুরুতেই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশই নাগাল পাইনি বাংলাদেশের। পেছনে চলে গেছে ইসরাইল, সাইপ্রাস ও কানাডা।
এস্তোনিয়াভিত্তিক ই-গভর্নেন্স অ্যাকাডেমি ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে, বিশ্বের ১৬০ দেশের সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল উন্নয়ন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি এই বৈশ্বিক সূচকে ডিজিটাল উন্নয়নে ৩১.১১ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের ব্যবধান পয়েন্ট ৩৪.৪২। ১২টি সূচকের প্রতিটিতে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সূচকে বাংলাদেশের মোট পয়েন্ট এখন ৬৭.৫৩।
মূলত পাঁচটি ধাপে এই সূচক তৈরি করা হয়। এগুলো হলো জাতীয় পর্যায়ের সাইবার হুমকি শনাক্তকরণ, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং সক্ষমতা শনাক্তকরণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিমাপযোগ্য বিষয়াদির নির্বাচন, সাইবার নিরাপত্তা সূচকগুলোর উন্নয়ন এবং সাইবার সিকিউরিটি সূচকগুলোকে তাদের বিষয় অনুযায়ী বিন্যাস করা হয়।