বাংলাদেশি ক্রীড়ামোদিরা আশায় বুকও বাঁধতে পারেন। তাদের আশা জোগানোর পাত্রও সামনে আছেন, পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। ২০১০ সালের আগস্টে অর্থের বিনিময়ে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং করায় সবধরনের ক্রিকেটে ৫ বছর নিষিদ্ধ হন তিনি। তবে আইসিসি’র দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে ঠিকঠাকভাবে অংশ নেয়ায় নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরেন বাঁহাতি পেসার। সাড়ে ৪ বছরেই তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়।
আমিরের অপরাধ ছিল গুরুতর। সেই তুলনায় সাকিবের দুর্নীতি গৌণ। ২০১৭-২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনবার ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে কথোপকথন হয় তার। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান তিনি। তবে তা গ্রহণ করেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বিপত্তিটা বাঁধে অন্য জায়গায়। আইসিসিরি দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) আইন অনুযায়ী, সেটা সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানাতে হতো। তবে অবগত বা অবহিত করেননি সাকিব। জিজ্ঞেস করলেও অস্বীকার করেন তিনি। পরে তদন্তে নামে আকসু। আগারওয়ালের সঙ্গে তার আলাপের প্রমাণ পায় তারা। স্বভাবতই চেতে যায় আইসিসি। ফলে তার ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে।
সাকিবের এ শাস্তি কমতেও পারে। এজন্য যা করতে হবে তাকে-প্রথমত, নিষেধাজ্ঞার সময়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের আইন কিংবা কোনো দেশেরই দুর্নীতিবিরোধী আইন ভাঙা যাবে না। পারলে বা সম্ভব হলে ভালো কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইসিসির নির্দেশনানুসারে বিভিন্ন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রম এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় ও পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। তারা যেভাবে বলে দেবে ঠিক সেভাবেই কাজ করতে হবে।
এ শর্ত দুটি ঠিকমতো পূরণ করলেই এক বছরে শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা। এমনকি এতে আইসিসি সন্তুষ্ট হলে শাস্তিটা নেমে আসতে পারে ৬ মাসে। ফিরতে পারবেন ২২ গজে।
ইতিমধ্যে সাকিবের শাস্তি কমাতে আইনি পরামর্শ নেয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান,তার শাস্তির মেয়াদ কমানোর সবধরনের চেষ্টা আমরা করব।