ক্যালিফোর্নিয়ার সান ম্যাটেওর অফিস বন্ধ করে দিয়েছে টেসলা। সেখানে অটোপাইলট ড্রাইভার-অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেমে কাজ করা প্রায় ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ইয়াহু ফাইন্যান্স।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই অফিসের বেশির ভাগ মানুষই টেসলার ঘণ্টাভিত্তিক কর্মী ছিলেন। টেসলার এ পদক্ষেপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ পুঁজিবাজারে সংকোচন, মূল্যস্ফীতি ও মন্দার উদ্বেগ ব্যাপক বেড়ে চলেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে খুব বাজে অনুভূতির বিষয়টি উল্লেখ করে টেসলার ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন ইলোন মাস্ক। ‘পজ অল হায়ারিং ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ শিরোনামের বার্তাটি নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি। পৃথক একটি ই-মেইলে তিনি বলেছিলেন, টেসলা বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ১০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। কারণ অনেক জায়গায় অতিরিক্ত কর্মী হয়ে গিয়েছে। যদিও ঘণ্টাভিত্তিক কর্মী সংখ্যা বাড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
গুগল-অ্যাপলের অ্যাপস্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশগুগল-অ্যাপলের অ্যাপস্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ
করনেগি মেলন ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রাজ রাজকুমার বলেন, টেসলা স্পষ্টতই একটা বড় ব্যয় সংকোচনের মুখে রয়েছে। কর্মী কমানোর বিষয়টি ইঙ্গিত দেয় যে সাংহাই বন্ধ, কাঁচামালের উচ্চব্যয় এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) প্রতিষ্ঠানটির জন্য খুব কঠিন ছিল।
ছাঁটাই হওয়া একজন কর্মী রয়টার্সকে বলেন, অফিসের কর্মীদের আগে বলা হয়েছিল যে সান ম্যাটেওর ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় জুনের শুরুতে পর্যায়ক্রমে পালো অল্টোর অফিসে সরিয়ে নেয়া হবে। তবে অবশেষে বেশির ভাগ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এটি অবশ্যই এক ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এ সিদ্ধান্তে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি।
অফিসটির কিছু কর্মী আশা করেছিল যে খরচ বাঁচাতে টেসলা নিউইয়র্কের বাফেলোর কম মজুরি কর্মীদের কাছে তাদের পাঠিয়ে দেবে। তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।