তারকা, জনপ্রিয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজের পাশে নীল রঙের টিক চিহ্ন দেখা যায়। তবে চাইলেই সবাই নিজেদের ফেসবুক পেজের পাশে নীল রঙের টিকচিহ্ন ব্যবহার করতে পারেন না। কারণ, ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই করে নির্দিষ্ট পেজে নীল টিকযুক্ত ভেরিফায়েড ব্যাজ যুক্ত করে থাকে ফেসবুক। ফলে সবাই বুঝতে পারে পেজটি আসল। বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাক করে ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালাচ্ছে একদল হ্যাকার।
ম্যালওয়্যার আক্রমণের জন্য প্রথমেই জনপ্রিয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাক করেন হ্যাকাররা। এরপর পেজটিতে নিয়মিত আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করেন তাঁরা। বিজ্ঞাপনগুলোয় ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীদের ফোন বা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর গোপনে তথ্য চুরি করে সেগুলো নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারটি।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালানোর ঘটনা শনাক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমবিষয়ক পরামর্শক ম্যাট নাভারনা। তিনি জানিয়েছেন, ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাক করে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার আদলে ‘মেটা অ্যাড’ বা ‘মেটা অ্যাডস ম্যানেজার’ শিরোনামে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালাচ্ছেন হ্যাকাররা।
বিজ্ঞাপনগুলোতে চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট ডাউনলোডের প্রলোভন দেখানো হয়। জনপ্রিয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপনগুলো দেখা যাওয়ায় অনেকেই নিশ্চিন্তে সেগুলোয় ক্লিক করেন। ফলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফোন বা কম্পিউটারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালওয়্যারটি।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও