মেহেরপুর ১ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যার্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ইতিপুর্বে তিনি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯১) এবং সপ্তম জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে (১৯৯৯) দুই দফা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন এবং মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুণের কাছে পরাজিত হন। এছাড়াও তিনি নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি। ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দাখিল করা হলফনামা নির্বাচন কমিশনে পাওয়া যায়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি নিজের পেশা ঘোষণা করেছেন কৃষি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে।
নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোননয় পত্রের সাথে জমা দেওয়া হলফনামা এবং নবম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে নিচের তথ্যগুলি জানা গেছে।
হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১০ হাজার টাকায় কেনা পাঁচ বিঘা কৃষি জমি। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ‘মানাম ইছামতি’ নামক এপার্টমেন্টে ৩০৯২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা। একাদশ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামাতে তার কৃষি জমি ছিল ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ বিঘা কৃষি জমি। অকৃষি জমি ছিল ১৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা সমমূল্যের। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার স্থাবর সম্পদ একই ছিল। তবে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল ১ লাখ ২২৩ টাকা, ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা।
২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের সময় হলফনামা অনুযায়ী তার স্থাবর সম্পদ একই থাকলেও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল নগদ ১৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২ লাখ টাকা, ২৫ ভরি স্বর্ণ, ৯০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স ও ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র।
বর্তমানে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ২২ লাখ ৯০ হাজার ৩১৬ টাকা, ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের ২৫ ভরি স্বর্ণ সহ ৯০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে। উপহার সূত্রে পাওয়া আরো কিছু ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়, সে সময় হলফনামায় আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি পিস্তল দেখানো হলেও পরবর্তীতে আর কোন হলফনামাতে পিস্তলটির কথা উল্লেখ করা হয় নি।