মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের কোন আয়ের উৎস নাই। তার কোন বাড়ি, গাড়ি ও কৃষি জমি নাই। আয় কমে এখন শূন্যের কোঠায়। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আছে যৎসামান্য।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি ছাড়া তার আর কোন স্থাবর সম্পদ নাই। তবে ২০১৩ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় তার এবং তার স্ত্রীর কোন স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন তা কমে শুন্যে দাঁড়িয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোন আয় নাই। ব্যাংক একাউন্টে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর জমাকৃত কোন টাকাও নাই। নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ৩ লাখ ও স্ত্রীর ৫০ হাজার। গৃহস্থলীর সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে তার স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি এবং তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে দশ ভরি। তিনি কৃষি খাতে ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল ব্যবসা। নগদ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিল এবং গৃহস্থলীর সামগ্রী ছিল ৫০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে কোন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ছিল না কোন স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও।
মকবুল হোসেনের বর্তমান স্থাবর সম্পদ বলতে যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি এবং যৌথ মালিকানার পাকা দোতলা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই। অবশ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোন স্থাবর সম্পদ ছিলো না।