জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, একটা অস্থির অবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন একটা স্থির অবস্থায় এসেছে।
প্রধান মন্ত্রী কওমী মাদ্রাসার শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করেছেন। কওমী মাদ্রাসা থেকে পড়া লেখা করে যাতে সম্মান জনক পেশাতে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার সাথে আইসিটি, গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞাণ শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যাতে তারা চাকুরীর ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ পাই। বিসিএস করে ইউএনও, ডিসি ও সচিব হতে পারেন।
মেহেরপুর জেলা উলামা পরিষদ ও ইমাম পরিষদের উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি ও আদর্শ সমাজ গঠনে উলামাদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমীতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, যারা ইসলামের জ্ঞান এবং ইসলামকে নিয়ে যত বেশী চর্চা করতে পেরেছেন তিনি ততবেশী নিজেকে এবং নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। ইসলামের জ্ঞান চর্চা আমাদের চিন্তা করতে শেখায়।
একজন ভাল মানুষের প্রভাবে অনেকে ভাল হতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, গুজব মানুষের সব আমলকে ধংশ করে দেই। তারা গুজবের কারণে মানুষকে হত্যা করে। তাই গুজব থেকে দুরে থাকতে হবে। মাদক আমাদের সন্তানদের একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। মাদককে দমন করতে মসজিদ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওলামা পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাফিজুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম সমিতির মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাসানুজ্জামান, ওলামা পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা খাদিমুল ইসলাম, ওলামা পরিষদের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জাফর আলী, মাওলানা মিনারুল ইসলাম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।