একটু বৃষ্টি হলেই মেহেরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তায় রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডবাসী। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
৫ নং ওয়ার্ডটিতে আজও গড়ে ওঠেনি ডে্েরনজ ব্যবস্থা। যে কারনে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন নাগরিকরা। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র প্রকট আকার ধারণ করলেও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়নের বদলে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কেবল নির্মাণ ও ব্যয়মূলক প্রকল্পের দিকে।
জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। জলাবদ্ধতায় তাদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। এমন দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় দোকানদার আক্তারুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর চার/পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে সড়ক থেকে পানি নামতে। সড়কে আজও ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ড্রেনেজব্যবস্থা না করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। এজন্য সামান্য বৃষ্টিতে এই রাস্তা খালে পরিণত হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের সব যায়গার জলাবদ্ধতার চিত্র একই রকম। বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতার কারণে ওয়ার্ডের সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জমে থাকা পানি কখনো কখনো ঢুকে পড়ছে রাস্তার পাশের বাড়ি ঘরে। এতে ওইসব বাড়িগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভার কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অভাবে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তির স্বীকার ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারগীছ খাতুন ও মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে এই ওয়ার্ডের অলিগলি ও প্রধান সড়ক। সজিব আহম্দে বলেন, এই ওয়ার্ডের সড়ক সংস্কার ও ড্রেনেজব্যবস্থার গড়ে না ওঠার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাকিম বলেন, আমার ওয়ার্ডের সব যায়গার অবস্থা খারাপ। এই ওয়ার্ডটিতে এখনও রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যে কারনে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়। আমি রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প দিয়েছি। কিন্তু সেখানে অনেক টাকা লাগবে এজন্য হচ্ছেনা। তবে মেয়র সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীবার যে প্রকল্প নেওয়া হবে সেই প্রকল্পে চক্রপাড়া ও হঠাৎপাড়ার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভার কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে মেহেরপুর পৌরসভার মেহেরপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন বলেন, পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ৮৩ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান। পরবর্তিতে এলজিএসপির আওতায় যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেই প্রকল্পে চক্রপাড়া ও হঠাৎপাড়ার ব্যাপক উন্নয়ন রাখা হয়েছে।