করোনাপরবর্তী সংকট মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একসঙ্গে কাজের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সার্কভুক্ত দেশসমূহের ১৭তম অনানুষ্ঠানিক কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সম্মিলিত কল্যাণ সাধনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিনি মার্চে অনুষ্ঠিত সার্কের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় একটি সার্ক জনস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনাটিরও পুনরুল্লেখ করেন, যা পরবর্তীকালে করোনার মতো যে কোনো জনস্বাস্থ্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্কভুক্ত সব দেশকে সাহায্য করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের এই বছরে আবদুল মোমেন দক্ষিণ এশিয়ায় কার্যকরী আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে সার্ক ফোরামকে শক্তিশালীকরণে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিওয়ালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সার্কভুক্ত আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের সভায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা করোনা মোকাবেলায় আঞ্চলিক প্রচেষ্টাগুলোকে পর্যালোচনা করেন এবং করোনাকালে এ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সহযোগিতার আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র ও সুযোগ যেমন তৈরি করবে তেমনি বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রকেও আংশিকভাবে বা পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক বানিয়ে ফেলবে। তিনি করোনা পরবর্তী সময়ে খাদ্য ও কৃষি, জনস্বাস্থ্য, আইসিটি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে আলাদা গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের মতো কিছু কার্যকরী বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রতি সার্কের অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন; যেখানে সার্কের নিম্নপর্যায়ের কার্যকরী অঙ্গসংস্থাগুলোর জমে থাকা সুপারিশগুলো আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।