একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা খ্যাতিমান কবি আল মুজাহিদী বলেছেন, সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিকে মার্জিত করে তোলে।
সৃজনশীল সাহিত্য মননশীল মানুষ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার হাতিয়ার। তাই সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সৃষ্টিশীল মানুষকে সম্মান করতে হবে। যাদেরকে বিশ্বজাহানের স্রষ্টা সৃজনশীল সাহিত্য সৃষ্টির যোগ্যতা দিয়েছেন তাদের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাগ্রত সাহিত্য সম্মাননা-২০২২ লেখক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সাহিত্যচর্চার ফলে মানুষের জৈবিক ও আত্মিক- এ দুই সত্তারই উৎকর্ষ সাধন হয়। সাহিত্য ব্যক্তিকে মার্জিত করে তোলে এবং আবেগ, অনুভূতি ও মূল্যবোধকে জীবনের সামগ্রী করে নেয়ার প্রেরণা জোগায়। সুন্দর মনের সুন্দর মানুষ ছাড়া সাহিত্যচর্চা কোনোদিনই সফল হতে পারে না।
জাগ্রত গ্রুপের চেয়ারম্যান জাগ্রত হিরো শিহাব রিফাত আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা আহসানুল হক মিনু, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা সাহিত্যিক ও কবি হাসান টুটুল, বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য কবি আতিক হেলাল, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আশরাফ চৌধুরী, সেক্রেটারী জেনারেল নাসরিন ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মোঃ মেজবাউল হক নাছিম, কবি অধরা আলো, কবি নায়লা পাইলট, কবি শামসুল হক শামীম, কবি এইচ এম হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জাগ্রত গ্রুপের চেয়ারম্যান কবি জাগ্রত হিরো শিহাব রিফাত আলম বলেন, সৃজনশীল প্রতিভাব বিকাশে কাজ করছে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ একটি সৃজনশীল পরিবার। আর এই পরিবারের সকল সদস্য আমাদের সম্পদ। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য দিয়ে তাদের সৃষ্টিকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আলোকিত দেশ গড়তে সবসময় আমরা আপসহীন।
তিনি বলেন, সাহিত্য সত্য, সুন্দর, আনন্দময় অনুভূতিতে পাঠক হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিও পেতে পারে মহৎ জীবনের আভাস। পাষাণবৎ মানুষও নতুন করে খুঁজে পায় মনুষ্যত্ব। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহিত্যপাঠ হতে পারে একটি কৌশল।
জীবনকে সৃজনশীল ও ক্রিয়াশীল রাখতে সাহিত্যের সান্নিধ্য আবশ্যক। সাহিত্য মানবমনের চিরকালের মুক্তির সরোবর। সাহিত্য পাঠের চেয়ে মহৎ আনন্দ আর নেই।
শিল্প-সাহিত্যের পথ দেখিয়ে দিয়েই সাহিত্যিকের কাজ শেষ হয়ে যায় না; ব্যক্তি ও ব্যবহারিক জীবনে এর চর্চা অতীব জরুরি। সার্থক শিল্পকর্মের জন্য এটি একান্তভাবে কাম্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শতাধীক কবি ও সাহিত্যিকদের মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হয়।