বিগত ৫ বছরে মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এর আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৫১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলকনামার তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। একইসাথে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
বর্তমানে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি জমি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস্য খাত থেকে ৫ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল কৃষি জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫২ লাখ টাকার এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪২ লাখ, ১টি গাড়ি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।
২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ছিল ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজর টাকার এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ শতাংশ না একর কোন পরিমাপের প্রকাশ করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট করা হয়নি।
২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলকনামায় উল্লেখ ছিল তার কৃষি জমি ১০ বিঘা এবং অকৃষি জমি ৫ বিঘা ৫ কাঠা। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনার স্থাবর সম্পদের ছককৃত ঘরে লেখা আছে ৯.৩৩। তবে স্পস্ট করা হয়নি। যদি এটা একরে হয়ে থাকলে তাহলে জমির পরিমাণও বাড়বে কয়েকগুণ।
আবার সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৩৭ লাখ টাকা এবং স্বর্ণ ২৫ ভরি উল্লেখ করা হয়েছে, তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সে হিসেবে এমপি পত্নীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ।
তাঁর স্ত্রীর নামে জমির পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমির পরিমাণ ছিল ৭ কাঠ। এখন তার পরিমাণ কৃষি জমি ২.২৯। তবে এক্ষেত্রেও শতাংশ না একরে হিসাব তা উল্লেখ করা হয়নি।