কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে র্যাব হেফাজতে নিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে।
শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তাদের কক্সবাজার কারাগার থেকে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন।
র্যাব সূত্রমতে, কারাগার থেকে রিমান্ডের জন্য বুঝে নেয়া হয় তিন এপিবিএন সদস্যকে। প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এদিকে এপিবিএনের তিন সদস্যকে গত ১৮ আগস্ট গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
কক্সবাজার জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, কক্সবাজার র্যাব ১৫-এর একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
আদালতের আদেশে এই তিন সদস্যকে র্যা্বের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে বুঝে দেয়া হয়েছে। তারা হলো– কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপপরিদর্শক শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
সূত্রমতে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনার দিন এপিবিএনের এই তিন সদস্য ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর ঘটনাস্থল এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন।
১৭ আগস্ট র্রাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৮ আগস্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকে তারা কারাগারে ছিলেন।
আজ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে কারাগারে থাকা রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামি এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিন আসামি বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত ৫ম দিনের মতো র্যা ব হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছে।
এর আগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে ২০ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র- যুগান্তর