টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন আর টাইগারদের কোচ নন রাসেল ডমিঙ্গো। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাট নিয়ে থাকবেন তিনি।
বাংলাদেশ দলকে কুড়ি ওভারের এই ফরম্যাটে ছন্দে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলীয় প্রবাসী ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে। তাকে দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক নিয়োগের আগে শ্রীরামকে ঠিকভাবে চিনতেনই না দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকে তো এই প্রথম নাম শুনেছেন।
কারণ শ্রীরামের বলার মতো ক্রিকেট ক্যারিয়ার নেই। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৮টি। তবে কীভাবে এত দ্রুত তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সে কথা জানালেন শ্রীরাম নিজেই। জানালেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের এক ফোনকলেই ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে শ্রীরাম বলেন, ‘আমি কেবল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব ছেড়ে টিএনপিএলে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। তখন খালেদ মাহমুদ সুজন আমাকে ফোন করেন। তিনি জানান, আমাকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে পেতে চায় বিসিবি। এর পর ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটে যায়। এখন আমি আপনাদের সামনে। আমি মনে করি খুব সহজে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি।’
কোচ না টেকনিক্যাল পরামর্শক হলেন, এ পদে কী কাজ— সেটিও পরিষ্কার করলেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে বেশ পরিষ্কার। কোচিং স্টাফে দক্ষ কয়েকজন কোচ আছে। আমি আশা করি তারা দারুণভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আমার মূল কাজটা হচ্ছে অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টর ও এসব দক্ষ কোচদের সমন্বয় করে কাজ করা। অস্ট্রেলিয়া ও আইপিএলে আমার অর্জিত টি-টোয়েন্টির কোচিং অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোটাই মূল পরিকল্পনা। আমি বলছি না যে দলটাকে আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি কেবল সব বিষয়কে একত্রিত করব।’