সুশান্ত সিং রাজপুত এর বাবা কে কে সিং দাবি করেছেন ফেব্রুয়ারি মাসেই মুম্বাই পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন সুশান্তের জীবনে কোনো বিপদ আসতে পারে। কিন্তু মুম্বাই পুলিশ কোনো রকম পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেছেন সুশান্তের বাবা। সেই সময় সুশান্ত, তার দিদি প্রিয়াঙ্কা, দুলাভাই তথা হরিয়ানার পুলিশ ওপি সিং এর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে কিছু কথাবার্তা হয়। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এর কিছু অংশ সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও প্রকাশ করেছে।
জানা যাচ্ছে, এই সময় বান্দ্রার ডিসিপি পরমজিৎ সিংকে জানানো হয় সুশান্তের কাছে হুমকি আসছে। সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি এই সংক্রান্ত খবরাখবর তাদের যাতে জানানো হয় তার আবেদন করেছিল সুশান্তের পরিবার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। মুম্বাই পুলিশ জানায় আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেতা।
টাইমস নাও-এর হাতে আসা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ দেখা যাচ্ছে, সুশান্ত এর দুলাভাই তাকে মেসেজ করে বলছেন, তাকে নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছে পরিবার। তিনি লিখছেন, তোমার পরিবারের সকলে তোমার স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছে। তারা ভাবছে তোমার ক্ষতি করছে কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী মানুষ, যারা তোমাকে ভুল ওষুধ দিচ্ছে এবং ঠিকমত খেতে দিচ্ছে না, ঘুমোতে দিচ্ছে না। তোমায় হতাশায় ভুগতে বাধ্য করছে এবং নিজেদের বশে রাখছে। তারা তোমার টাকা ওড়াচ্ছে এবং তোমার সমস্ত কন্টাক্ট ব্যবহার করছে।
সুশান্তের দুলাভাই এই সমস্তটাই জানিয়েছিলেন বান্দ্রা ডিসিপিকে। তিনি সেই চ্যাটে সুশান্তকে বলেছিলেন, কোনও কিছু সমস্যা হলে সেটা পুলিশের জানা উচিত। তাই তিনি সমস্ত বিষয় বান্দ্রা পুলিশকে জানাবেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে আরও লিখেছিলেন, আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে জানতে পেরেছি যে সুশান্তকে বাঁচানোর জন্য আমাদের কাছে বেশি সময় নেই। রিয়া নামের মেয়েটি মিরান্ডা ও শ্রুতিকে কাজে লাগিয়ে সুশান্তকে আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে।
সুশান্তের বোন একটি মেসেজে লিখেছিলেন, রিয়া চাইছে সুশান্তের সমস্ত মূল্যবান যোগাযোগ ব্যবহার করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করতে। সুশান্ত এর উপর ভর করে বলিউডে খ্যাতি পেতে চাইছে। সুশান্তের কাছে সময় থাকলেও ও কিন্তু আমাদের সাবধান করেছে। ওকে কড়া ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। রিয়ার ঠিক করা তিনজন চিকিৎসক ওকে কড়া সাইকোটিক ওষুধ দিয়েছে যার প্রেসক্রিপশন রয়েছে। এই সমস্ত সমস্যার মূলে রয়েছে রিয়া এবং ওর পরিবার।
এই সমস্ত কথাবার্তাই হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। চ্যাট থেকে সম্পূর্ণ বোঝা যায় যে খুবই চিন্তিত ছিল সুশান্ত সিং রাজপুত এর পরিবার। সুশান্তের সঙ্গে যে খারাপ কিছু হতে চলেছে তার আশঙ্কা করেছিলেন তারা আগেই। কিন্তু মুম্বাই পুলিশকে জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। সূত্র : কলকাতা ২৪x৭।