বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। গত জুনে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এই তারকাকে। সুশান্ত সিং রাজপুত অস্বাভাবিক ভাবে মারা যাওয়ার বিষয়ে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার ডিআরডিওর গেস্ট হাউসে ডেকে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পাচক নীরজ সিংহ এবং পরিচারক দীপেশ সবন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। তারপর বেলা ৩ টার দিকে ওই তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে যায় সিবিআইয়ের তদন্ত দলটি।
তাদের সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং মুম্বাই পুলিশের যেসব অফিসার এতদিন তদন্ত করেছেন, তারাও ছিলেন। রবিবার সিবিআইয়ের ওই দলটি প্রয়াত অভিনেতার ফ্ল্যাটে গিয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়েছেন। এদিন সকালে সিদ্ধার্থ, নীরজ ও দীপেশ এক এক করে সান্ট্রাক্রুজের কলিনায় ডিআরডিওর গেস্ট হাউসে এসে পোঁছান। সেখানেই গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে রয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
১৪ জুন যখন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে সুশান্তের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়, তখন ওই তিনজনই সেই ফ্ল্যাটে ছিলেন। এর আগে শুক্রবার নীরজ ও সিদ্ধার্থকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
সুশান্তের বাড়ির পরিচারক দীপেশ সবন্ত জানান, লকডাউন চলাকালে অনেক দেরি করে ঘুমোতে যেতেন সুশান্ত ও তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। ঘুম থেকে উঠতেনও দেরি করে।
দুপুরে খাওয়ার আগে দীর্ঘক্ষণ যোগব্যায়াম করতেন তারা। অনেক সময়ে ছাদে গিয়েও ব্যায়াম করতেন। তখন দীপেশকে সুশান্ত নির্দেশ দিতেন– ছাদে যোগব্যায়ামের জিনিসপত্র ও মিউজ়িক সিস্টেম দিয়ে আসতে।
সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন কয়েক আগে রিয়া সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে চলে যান। সেই দিনটি সম্পর্কে দীপেশকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নানা প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা।
দীপেশ জানান, ওই দিন দুপুরে খাওয়ার আগেই সুশান্তের বাড়ি থেকে চলে যান রিয়া। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সে দিন দুপুরে আর খাওয়া-দাওয়াই করেননি। সারাক্ষণ ঘরে চুপচাপ বসেছিলেন সুশান্ত। সূত্র : আনন্দবাজার