সেলাই মেশিন দিয়ে নিঃসন্তান বিধবা নারী শিল্পী খাতুনের মুখে হাঁসি ফোটালেন মানবাধিকার নামক একটি সংস্থা ।
রবিবার সন্ধ্যায় সংস্থাটির কর্মকর্তারা কোটচাঁদপুরের মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে মেশিনটি তুলে দেন ওই নারীর হাতে।
জানা যায়, মোছাঃ শিল্পী খাতুন। বয়স ৩৯ বছর। বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামনদহ গ্রামে। স্বামী ছিলেন দিন মজুর লিটন হোসেন। গেল ১ বছর হল স্ট্রোক জনিত কারনে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই থেকে বিধবা নারী শিল্পী খাতুন জীবকার জন্য বেছে নেন নকশি ক্যাথার কাজ। এ থেকে যা আয় হত,তাতে দিন চলত না তাঁর। কোন দিন খেয়ে আবার না খেয়েও দিন পার করত সে।
আর বসবাসের জন্য আছে,একটি টিন সেডের একটা ঘর। সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানিতে ঘর আর ঘরের আসবাবপত্র ভিজে যেত। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হয় ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্সএন্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটি কোটচাঁদপুর শাখার সভাপতি রেজাউল করিমের। তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন অসহায় ওই নারী শিল্পী খাতুনে। হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁর স্বপ্নের সেলাই মেশিনটি।
শিল্পী খাতুন জানান,স্বামী মৃত্যুর পর কোন রকম বেচে আছি। নিজের শরীরও বেশি ভাল না। এরপরও বেচে থাকতে কিছু করতে হবেই। তাই নকশি কাঁথার কাজ করতাম। তা থেকে যা পেতাম,সেটা দিয়ে কিছুই হত না।
তিনি বলেন, আমার একটা ইচ্ছে ছিল,যদি কেউ আমার একটা সেলাই মেশিন দিত। তাহলে কাজ করে আমার বাকি জীবনটা ভাল ভাবে চালাতে পারতাম। আজ আমার সে ইচ্ছে পূরন হয়েছে। মেশিন পেয়ে শিল্পী খুব খুশি হয়েছেন। দোয়া করেছেন সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের জন্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটর্সে এন্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটি কোটচাঁদপুর শাখার সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আশরাফুল ইসলাম, সহসভাপতি আশরাফুজ্জামান,সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার চৌধুরীকে তুহিন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন খান,দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাশার,সাংবাদিক রমজান আলী,মোঃ রশিদুল ইসলাম,সৌকত আলী অংকুর,রোকনুরজ্জামান প্রমুক।