নাম তার সুরভী। বয়স ৩৮ বছর। দুই সন্তানের বাবা। একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। ছেলে লিজনের বয়স ৯ বছর। ১৫ বছরের মেয়ে সুরাইয়ার কয়েকমাস আগে বিয়ে হয়েছে। এখন সে শ্বশুর বাড়ি সংসার করছে। স্ত্রী সালমা খাতুন স্বামী সুরভীর অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে বাড়ি ছেড়েছে।
বলছিলাম অবৈধভাবে তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সাজা সোহরাভ হোসেনের কথা। সোহরাভ হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের মৃত আজাদ আলীর ছেলে। সোহরাভ হোসেন থেকে নাম পরিবর্তন করে নাম দিয়েছে সুরভী। হিজড়া সেজে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে হিজড়াদের কার্যক্রম করে বেড়ান সোহরাভ হোসেন। এনিয়ে হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
বিরোধের জেরে হিজড়াদের নেত্রী সীমা হিজড়ার সাথে তার একটি আপোষনামা হয় তিনশ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে।
মিমাংসা নামায় উল্লেখ করা হয়, ৩১/১২/২০২০ ইংরেজি তারিখ থেকে সোহরাভ মেহেরপুর জেলায় কোনরুপ হিজড়ার কার্যক্রম করতে পারবে না। কিন্তু তারপরও সোহরাভ চুক্তি না মেনে হিজড়া কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয়দের মধ্যে সোহরাভকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বিষয়টিকে অন্যায়ভাবে দেখছেন। আবার কেউ মেনে নিয়েছেন। তবে সমাজের আর পাঁচটা মানুষের মত সমাজ সংসার না করে সে উল্টো পথে গেলো কেনো এনিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে।
সোহরাভের মা হাজেরা খাতুন বলেন, ছোটবেলা থেকেই ছেলেটার স্বভাব মেয়েদের মত। ছোটবেলায় থেকেই সে হিজড়াদের সাথে চলাচল করতো। আমরা অনেক বারণ করেও সে থামেনি। তার এই আচরণের কারণে তার সংসারটাই ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে সোহরাভ বলেন, আমাকে ছোট বেলা থেকে হিজড়ারা সাথে করে নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে যেত। আমাকে হিজড়ারা বাধ্য করেছে হিজড়া হতে। যে কারণে আমি আর অন্য কোন কাজ করতে পারিনা।
হিজড়া নেতা সীমা হিজড়া বলেন, সোহরাভ পুরুষ মানুষ। তার সংসার আছে। বউ বাচ্চা আছে। সে কেন হিজড়া সেজে হিজড়াদের কাজ করবে। সে হিজড়াদের কাজ করবে না বলে চুক্তিনামাও করেছে। তারপরও সে হিজড়াদের কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।