আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই ঘটে গেছে অদ্ভূত এক ঘটনা। অসাবধানতাবশত ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙতে দেখা গেছে সুনীল নারাইনকে। অথচ, হিট আউট হতে হয়নি তাকে। কেন আউট দেওয়া হলো না নারাইনকে, কী বলছে নিয়ম?
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন নারাইন। তবে তিনি আউট হতে পারতেন ১৮ রানেই। ১৬ বলে তখন ১৮ রানে ব্যাট করছেন এই ক্যারিবীয় ওপেনার। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বেঙ্গালুরুর পেসার রাসিখ সালাম চতুর্থ বলটা করেছিলেন শট লেংথ ও অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে দিয়ে। খেলার চেষ্টা করেননি নারাইন। বল চলে যায় উইকেটকিপার জিতেশ শর্মার গ্লাভসে। উচ্চতার কারণে লেগ আম্পায়ার সেটিকে ওয়াইড দেন।
এরপরই ঘটে ঘটনাটি। অবসাবধানতাবশত ব্যাট পেছনে আনার সময় নারাইনের ব্যাট স্টাম্পে লেগে বেল পড়ে যায়। জ্বলে ওঠে বেলের জিং লাইট। বেঙ্গালুরু ফিল্ডার টিম ডেভিড ও বিরাট কোহলি হিট আউটের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। যা নিয়েই জন্মেছে কৌতুহল। কোন নিয়মে নারাইনকে আউট দিলেন না আম্পায়ার। কি বলছে নিয়ম?
ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) ৩৫.১.১.২ থেকে ৩৫.১.১.৪ ধারায় বলা আছে, একজন ব্যাটসম্যান তখনই হিট আউট হবেন, যখন তিনি প্রথম রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করতে গিয়ে উইকেট ভাঙবেন অথবা বল ছেড়ে দেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ উইকেট ভাঙবেন অথবা বলকে স্টাম্পে লাগা থেকে বাঁচাতে গিয়ে উইকেট ভাঙবেন।
যার কোনোটিই করেননি নারাইন। তাছাড়া স্টাম্প ভাঙার আগেই বল উইকেটকিপারের হাতে চলে যাওয়ায় ডেড হয়ে গিয়েছিল বলটি। আম্পায়ারও ওয়াইড কল করেছিলেন। যে কারণে হিট আউট দেওয়া হয়নি নারাইনকে।
তবে আম্পায়ারের দেওয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হতে পারত আরও। যদি ম্যাচের মোড় ঘুরে যেত নারাইনকে আউট না দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত কিংবা ম্যাচটা হেরে যেত বেঙ্গালুরু। শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। কেকেআরের ১৭৪ রানের টার্গেট ২২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় বেঙ্গালুরু।
সূত্র: যুগান্তর