স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুকন্যাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার হলুগাছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামপুর থানার সুজালি গ্রামপঞ্চায়েতের হলুগাছ গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলির সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় নুরজাহান খাতুনের।
মাস দেড়েক আগে তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে নিয়েই থাকতেন আকবর।
কয়েক দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ চলছিল আকবরের। বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
এর পর গভীর রাতে আকবর তার স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুকন্যা রেজওয়ানাকে হত্যা করে ঘরের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
এদিকে এ ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজিত গ্রামবাসী অভিযুক্ত ব্যক্তি আকবর আলির বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত আকবর আলির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে আকবরের মা ও বাবাকে।
ইসলামপুরের পুলিশ সুপার সচিন মক্কর বলেন, আইন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে ও কীভাবে ওই নারী ও তার শিশুসন্তানকে খুন করা হলো তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করেছে আকবর।