আসন্ন গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে মতবিনিময় সভা করেছেন সরকার দলীয় প্রার্থী আহম্মেদ আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম যুবলীগ নেতা দাবী করলেও মতবিনিময় সভায় তা প্রকাশ্য অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। বক্তারা জানান, আশরাফুল ইসলাম যুবলীগের কেউ নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম সদস্য বলে কোনো পদ নেই। এটা আশরাফুল ইসলাম এর সৃস্ট একটি পদ।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক জানান, সম্প্রতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম যুবলীগ নেতা দাবী করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। অথচ তার কোন পদ নেই। নির্বাচনে দলীয় ফায়দা লুটতেই তিনি এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু বলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দল ও এর অঙ্গ সংগঠন সমূহু যখন এক কাতারে তখন ভুই ফোড় নেতা পরিচয় দিয়ে একজন নির্বাচনী ফায়দা লুটবে তা হতে দেয়া সম্ভব নয়।
গাংনী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, আশরাফুল ইসলাম স্বঘোষিত নেতা হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিচ্ছেন। বেশ কয়েকবার তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ চাওয়া হলেও তিনি দিতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি নিজের লোক দিয়ে প্রচার মাইক ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। যাতে প্রশাসনের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরে যায়।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কেএম শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি প্রার্থী কোন অভিযোগ করছেন না। কোথাও বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নি।
গাংনী পৌর এলাকা জুড়ে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণা লিফলেট ও পোস্টার ছেয়ে গেছে। কারো পোস্টারের একটি কোনাও ছেড়া নেই। অথচ আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করছেন হুমকী ধামকী দেয়ার। এটা মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। তিনি আরো বলেন, আশরাফুল ইসলাম যদি দলের কেউ হবে তাহলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন কিভাবে? আসলে তিনি দলের কেউ নন।
সাবেক এমপি মকবুল হোসেন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ি দলের লোকজন কাজ করে যাচ্ছেন। কোন অপপ্রচার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবেন না। এবিষয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি তার বাসায় যেতে বলেন। পরে কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে গেলে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর তিনি তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রেখে দেন। পরে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও গাংনী প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আগামী ১৬ জানুয়ারী ২০২১ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাংনী পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে গাংনীতে চলছে মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রচার প্রচারণা। এই প্রথম গাংনীতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটার মেশিন (ইভিএম) এ ভোট প্রদানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন নির্বাচন অফিস।