স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে নয়। তার মুক্তির জন্য আইনের আশ্রয় নিতে হবে এবং আদালতে যেতে হবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে হজ বুথ সেবা-২০২০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) পরিবার থেকে একটা আবেদন করেছে। সেই আবেদন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। তাকে মুক্তি দিতে হলে আইনের আশ্রয় এবং আদালতে যেতে হবে।
আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে সেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি মতামতের জন্য। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।’ আইন মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের বলেছে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন আইনের বাইরে তো আইনমন্ত্রী মহোদয় কিছু বলতে পারেন না। আবার আমরাও যেতে পারি না। আমরা যেখানে যা প্রয়োজন, তাই করছি।
তার আবেদনটা আমরা আইনি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আবারও বলছি, যা কিছু করতে হয়, এটা বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে হবে, এর বাইরে কিছু হবে না।’
মুজিববর্ষের সার্বিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনুষ্ঠান সম্পর্কে গতকাল গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির সঙ্গে বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক হয়েছে।
জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। ওখানে আমাদের যা যা বলা হয়েছে তাই আমরা অনুসরণ করব। জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কী কী করবে সব অনুষ্ঠানসূচি আপনাদের তারাই জানাবে।
এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং এই দেশের জনগণ উন্মুখ হয়েছিল তারা এই মুজিববর্ষটা হৃদয় দিয়ে পালন করবে। যে ভাইরাসের কথা বলা হচ্ছে সেটা আমাদের জনগণকে আটকে রাখতে পারবে না।
জনগণ যে যার জায়গা থেকে মুজিববর্ষ পালন করবে। যে কোনো কিছুতে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী সবসময় সজাগ থাকে। এই আনন্দের দিনে কেউ কোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা আমার মনে হয় করবে না বা সাহস করবে না।
সুত্র-যুগান্তর