চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি স্বর্ণ পাচার মামলায় দুই জনকে ১৪ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত-১’র বিচারক মোহা: রবিউল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার দিতপুর গ্রামের মোহাম্মদ সারাফত শরিফের ছেলে মেসরিন ও বরিশাল জেলার বানুরিপাড়া উপজেলার দরিশর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সৈয়দ রুমান।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুন সকালে দুই জন ব্যক্তি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের জন্য চুয়াডাঙ্গার জয়নগর চেকপোস্ট এলাকায় আসেন। দর্শনা আইসিপি বিওপির একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেকপোস্ট এলকায় সন্দেহভাজন দুই জনকে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ১০৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় দর্শনা আইসিপি বিওপির হাবিলদার জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
দামুড়হুদা থানার এসআই মিল্টন সরকার ও এসআই গাজী আবু কাইয়ুম পৃথক দুটি মামলায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুটি মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে স্পেশাল ট্রাইবুনালের বিচারক আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মেসরিন ও সৈয়দ রুমানকে ১৪ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন। আর আটক স্বর্ণ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন।
-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি