সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে জনগণকে ভুল বুঝিয়েছেন, আজকে তারাই ধর্মের নামে রাজনীতি করে মানুষকে মিথ্যাচার করছেন। পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিপথগামী করতে চান তারা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের মানুষ করে গেছেন। বাঙালিরা যা বলে তা করে, তা তিনি প্রমাণ করে গেছেন। বাঙালিরা শত শত বছর ধরে ছিল শাসিত। বাঙালিরা কোনো দিন শাসন করতে পারেননি, সেই বাঙালিদের বঙ্গবন্ধু শাসক বানিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।’
রোববার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোরআন সুন্নাহর আলোকে দেশ তৈরির জন্য যে ওয়াদা করে গেছেন, সে ওয়াদা তিনি পালন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোরআন সুন্নাহর আলোকে মানুষের কল্যাণে কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। যারা স্বাধীনতাকে মেনে নেননি তারা বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া ও চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিয়ে মিথ্যাচার করেও কামিয়াব হবে না। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা কোরআনের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চান, তারা কোনো দিনও সফল হবেন না। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে ১৭ কোটি মানুষের অবিচল আস্থা রয়েছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে আমাদের অর্জন বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, এ দেশকে তারা কিছুই দেননি। তারা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষকে বিপথগামী করতে চেয়েছিলেন।’
মিথ্যাচার না করে স্বাধীনতার সত্য ইতিহাসকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
লালমনিরহাট জেলার জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ।