প্রযুক্তি ডেস্কদেশে স্বাভাবিকভাবেই চলছে ইন্টারনেট। বেশ দে কয়েকদিন বন্ধ-চালুর এই অবস্থা থাকার পর অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বাভাবিক হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা। ব্রডব্যান্ডের পর স্বাভাবিকভাবে চলছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট। গত সোমবার বিকেল ৪টায় মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এ সময় উন্মুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া সব কমিউনিকেশন অ্যাপ। এর মাধ্যমে গত এক মাস টানা ইন্টারনেট ব্যবহারের বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত হলেন নেট ব্যবহারকারীরা। এর আগে দুই দফায় ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটের কবলে পড়ে দেশ। সব মিলিয়ে দুই দফায় ১৫ দিনের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি তারা। সরকারের হিসেবেই এতে ক্ষতি হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আইসিটি খাতের প্রতিটি খাতই ভেঙে পড়েছে এই কয় দিনে।
বিষয়টি নিয়ে সবার আগে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে বেসিস। এরপর এতে যুক্ত হয় বিএফডিএ, বাক্কো ও ই- ক্যাব। কিন্তু কখনো সার্ভার পুড়ে যাওয়া কিংবা নাশকতার কারণে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং সবশেষ গুজব প্রতিরোধের যুক্তিতে। এমন পরিস্থিতিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও সরকারবিরোধী ট্যাগের ভয়ে এ নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করেননি এই খাতের নেতারা। কেবল বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ইন্টারনেট বন্ধকে ইন্টারনেট সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বিভিন্ন গ্রুপে ইন্টারনেট নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন বেসিস সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর ও সৈয়দ আলমাস কবির। তবে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক সরকারের কণ্ঠে সুর মিলিয়েছেন। ই- ক্যাবও সংবাদ সম্মেলন করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার
ফলে ই-কমার্স খাতের ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। ইন্টারনেট একাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে তির্যক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সমালোচনার মুখে পড়েন নিজে ফেসবুক ব্যবহার করেও সবার জন্য তা বন্ধ রেখে। পরে অবশ্য তিনি করজোড়ে ক্ষমা চেয়েছেন নিজ এলাকায় দেওয়া এক বক্তব্যে। গতকাল ভারতের রাজধানী দিল্লি পালানোর সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বিকেল ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে। আগামীতে কোনো অজুহাতেই যেন ইন্টারনেট বন্ধ না করা হয় এই দাবি জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ দিন আমরা ইন্টারনেটে যে স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম তা পুনরুদ্ধার হয়েছে।
সূত্র: ইত্তেফাক