মুজিবনগরে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে ও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করে পাশের বাড়ির সাবেক প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও হয়েছে সুমন নামের এক যুবক।
উধাও হওয়ার পর স্বামী ফিরে আসবে ভেবে ১ মাস পার হয়ে গেলেও স্বামী ফিরে না আসায় ভেঙে পরেন স্ত্রী শাহানাজ খাতুন।
সুমন ও শাহনাজের সংসারে ৭ বছরের একটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে। স্বামীর সংসারে সুখ না পেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে শেষ প্রযন্ত ৭ বছরের এক মেয়ে সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হলেন শাহানাজ খাতুন(২৫) নামের এক গৃহবধূ।
স্থানীয়দের নিয়ে বার বার বিষয়টি মীমাংসা করার পরও সুমন ঠিক হয় না। গতকাল শনিবার বিকালে মেয়ের পরিবারের লোকজন এসে তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সুমন মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের মজিবার রহমানের ছেলে ও শাহানাজ খাতুন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শাহাজান আলীর মেয়ে।
শাহানাজ খাতুন জানান, সুমন যে মেয়েটাকে ২য় বিয়ে করেছে তার সাথে সুমনের ছোট থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার সাথে আমার বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে নির্যাতন করতো। তাছাড়া সে বিয়ের পরও তার সাবেক প্রেমিকাকে ছাড়তে পারেনি। এর আগেও সে তার প্রেমিকার কারণে আমাকে তালাক দিয়েছিলো। স্থানীয় নেতারা সেটি মীমাংসা করে আমাকে তার সংসারে নিয়ে যায়।
কিন্তু তাতেও তার পরিবর্তন হয়নি। শেষ পযর্šÍ নভেম্বরের ১ তারিখে সুমন তার সাবেক প্রেমিকাকে পালিয়ে ২য় বিয়ে করে। তারপর সে আমাকে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে তালাক দেয়। কিন্তু গত ১ মাস আমাকে সুমনের বাড়ির লোকজন আটকে রাখে। যতদিন পযর্ন্ত সুমন বাসায় না ফিরবে ততদিন পযর্šÍ আমাকে বাপের বাড়িতে আসতে দিবে না বলে জানায়।
মেয়ের মা ফাতেমা খাতুন জানান, আনুমানিক ৮ বছর আগে সুমনের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিই। বিয়ের পর মেয়ের সুখের কথা ভেবে সুমনকে একটি মটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ, আংটি, চেনসহ ঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র দিই।
বিয়ের কয়েকবছর পর আবারো তাকে একটি দোকান দেয়ার জন্য নগট দেড় লক্ষ টাকা দেয়া হয়। তারপরও সুমন আমার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকে।
স্থানীয়দের সাথে কয়েবার বসে মীমাংসা করে মেয়েকে তার কাছে রেখে গিয়েছি। কিন্তু ২ মাস মত আগে সে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে পাশের বাড়ির একটি মেয়েকে পালিয়ে ২য় বিয়ে করে।
তাকে চলে আসতে বলেও সে আমার মেয়ের কাছে ফিরে আসে না। তাই আমরা আমার মেয়েকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে চিরদিনের জন্য নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি। এ বিষয়ে সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পরিবারের লোকজন তাকে আটকে রাখেনি। আমার কাছে তাদের কিছু লেনাদেনা আছে তাই সেটা নেয়ার জন্য স্বেচায় আমার স্ত্রী আমার বাসাতে ছিলো।
এর বেশি আমি আপনাকে মোবাইলে কোন কথা বলতে রাজি না। যা কথা হবে সব সামনা সামনি হবে।