মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুরের স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব আশ্রমের সেবায়েত মহারাজের পরলোকগমন করেছেন।
আজ বিকেল চারটার (৪টা) সময়, ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেহত্যাগ করেছেন, শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ (৭৫)।
তিনি মেহেরপুর জেলার কুতুবপুর গ্রামের শ্রীমৎ স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস দেবের পিতৃভূমি খ্যাত সারস্বত আশ্রমের সেবায়েত, দীক্ষাগুরু মহারাজ ছিলেন।
শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী তাঁর বড় দাদা অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের নিকট দীক্ষা নিয়ে শ্রী শ্রী নিগমানন্দ, সদগুরু প্রবর্তিত “শংকের মত গৌরাঙ্গের পথ ” দর্শনের বিশ্বাসী হয়ে গৃহত্যাগী হয়ে সন্ন্যাসব্রর্তী হন। কালে কালে তাঁর ভক্তি, মেধা ও একনিষ্ঠতা দিয়ে হয়ে উঠেন আশ্রমের একজন প্রধান ভক্ত।
পরবর্তীতে তাঁর দাদা শ্রী শ্রী আখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ লোকায়িত হওয়ার পর গুরুধাম খ্যাত কুতুবপুর আশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। তাঁর সময় কালে কুতুবপুর আশ্রমের প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত ঘরগুলি অপসারিত করে অধুনিক ভবন নির্মান করে আশ্রমের আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। সেই সাথে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে “শংকরের মত গৌরাঙ্গের পথ” দর্শন কে আরো জনপ্রিয় করে তোলেন। তাঁর আমলেই শ্রী শ্রী নিগমানন্দ দর্শন দেশীয় পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এই দর্শনের উপর গবেষণা চালু হয়।
শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের দেহত্যাগের খবরে মেহেরপুর সহ বাংলাদেশ ও ভারতের সহস্র ভক্তের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুতে এই অস্থির বিশ্ব একজন সৎ, নির্লোভ অধ্যাত্মিক নমস্য ব্যাক্তিত্বকে হারাল, বলে মনে করেন স্থানীয় সুধীজনেরা।
তবে গুরুধামের ১৫০ জাল হয়ে যাওয়া জমি নিয়ে দীর্ঘ মামলা করেও নেয্য হিস্যা আশ্রমের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারার ব্যার্থতা ছিল তাঁর প্রাণ জুড়ে।