নানা চ্যালেঞ্জের মুখে স্মার্টফোন বাজার নাজুক পরিস্থিতিতে পড়ার খবর উঠে এসেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (আইডিসি)’র এক গবেষণায়। টানা তিন প্রান্তিক ধরে নিম্নমুখী হচ্ছে স্মার্টফোনের বাজার; সরবরাহ ও চাহিদা উভয় ক্ষেত্রেই সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার বিশ্লেষক সংস্থাটির ধারণা, ২০২২ সালে স্মার্টফোনের সরবরাহ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১৩১ কোটিতে এসে ঠেকবে। আইডিসি অবশ্য একে স্বল্পমেয়াদী ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করছে। স্মার্টফোন বাজার বিদ্যমান অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে এবং ২০২৬ নাগাদ স্মার্টফোনের বাজার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
ধসের পেছনে কারণ কী?
স্মার্টফোনের বাজারে ধসের পেছনে ক্রমহ্রাসমান চাহিদা, মুদ্রাস্ফীতি, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় চলমান সীমাবদ্ধতার মতো বেশ কিছু বিষয়কে দায়ী করছে আইডিসি। তবে, বাজার বিশ্লেষক সংস্থাটি চীনের সাম্প্রতিক লকডাউনকে এর সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
মেটা ছাড়ছেন শেরিল স্যান্ডবার্গমেটা ছাড়ছেন শেরিল স্যান্ডবা র্গলকডাউনের কারণে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি একই সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইডিসির গবেষণা পরিচালক নাবিলা পোপাল। একদিকে বিশ্ববাজারে ডিভাইসগুলোর চাহিদা কমছে, অন্যদিকে নাজুক অবস্থায় থাকা সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
আইডিসি বলছে, সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতায় সম্ভবত সবচেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে অ্যাপলের। একদিকে নিজস্ব পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে কোম্পানিটি। অন্যদিকে, অ্যাপলের তৈরি ব্যয়বহুল পণ্যগুলোর ক্রেতারা সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যাতেও প্রভাবিত হন না। ২০২২ সালে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে স্মার্টফোনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি কমার আশঙ্কা করছে আইডিসি। এই অঞ্চলগুলোতে স্মার্টফোনের সরবরাহ ২২ শতাংশ কমতে পারে বলে ধারণা করছে আইডিসি।
আগামী বছর আসছে ‘ফাইনাল ফ্যান্টাসি ১৬’আগামী বছর আসছে ‘ফাইনাল ফ্যান্টাসি ১৬’
অন্যদিকে, চীনে স্মার্টফোনের বিক্রি তিন কোটি ৮০ লাখ ইউনিট বা ১১ দশমিক ৫ পাঁচ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছে আইডিসি। তবে, জাপান ও চীন বাদে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে স্মার্টফোনের বাজার তিন শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।