স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কর্মীরা ভালো বেতনের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে স্যামসাংয়ের নির্বাহী পরিষদের কাছে নিজেদের দাবি তুলতে ধর্মঘট শুরু করেছেন কর্মীরা। কর্মীদের ইউনিয়ন দাবি পূরণ করতে না পারলে আরও বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। ন্যাশনাল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ইউনিয়নের মোট সদস্য প্রায় ৩০ হাজার। তাদের কিছু অংশ ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছে।
রয়টাসের সূত্রে জানা যায়-স্যামসাংয়ের কর্মীরা বার্ষিক ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত একদিন ছুটি ও কর্মচারীদের বোনাস সিস্টেমে পরিবর্তনের জন্য ধর্মঘটের মাধ্যমে চাপ তৈরি করছে।
কর্মীদের তুলনায় কম অংশগ্রহণ ও স্বয়ংক্রিয় উৎপাদনের কারণে স্যামসাংয়ের কাজে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এমন ধর্মঘট চিপ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। স্যামসাংয়ের মতো বড় প্রযুক্তি সংস্থা ধীরে ধীরে কাজ কর্মে বেশি বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার শুরু করছে বলে কর্মীদের সামনে নতুন সব চ্যালেঞ্জ হাজির হচ্ছে। গত মাসে স্যামসাংয়ের কর্মীদের ইউনিয়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গণ ওয়াকআউট বা কর্মস্থল ত্যাগ করে। বার্ষিক ছুটির সমন্বয়ের জন্য কাজ বন্ধ করে দেয়। কর্মীদের ওয়াকআউটের কারণে উত্পাদনে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না বলে জানিয়েছে স্যামসাং।
এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক এই সপ্তাহে ধর্মঘট করেছে। বেশিরভাগ কর্মী উৎপাদন কারখানা ও পণ্য বিকাশে যুক্ত। স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন লাইনের কিছু কর্মী ধর্মঘটে যুক্ত হচ্ছেন বলে মূল কাজে প্রভাব তৈরি হতে পারে। ইউনিয়ন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিউলের দক্ষিণে স্যামসাংয়ের সদর দফতরের কাছে বৃষ্টির মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি হিউন-কুক বলেন, স্যামসাং কর্মীদের প্রস্তাব গ্রহণ না করলে আরও ধর্মঘট হতে পারে। স্যামসাংকে কর্মীরা বেতন ও বার্ষিক ছুটির শর্ত নমনীয় করতে চাপ দিচ্ছে। ইউনিয়ন কর্মকর্তারা বোনাস ব্যবস্থায় সমতা চান। অভিযোগ আছে নির্বাহী পর্যায়ের কর্মীদের বোনাস ব্যক্তিগত কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। কর্মীদের বোনাসে অন্যায্য আচরণ মানতে রাজি না ইউনিয়ন। তাই অনেক কর্মী অস্পষ্ট বোনাস স্কিম নিয়ে সন্তুষ্ট না।