সৎ ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন নুরাছন খাতুন (৪০) নামের এক মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে তারই সতীনের ছেলে আলাউদ্দিন ।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে। নুরেছন খাতুন ভাটপাড়া গ্রামের আফেল উদ্দিনের স্ত্রী।
আহত নুরাছন খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। এ সময় তার সতীনের ছেলে আলাউদ্দিন আমাকে কিছু না বলেই কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। আমি তার মার খেয়ে উঠানে পড়ে যাই। এ সময় ঘর থেকে ধারালো হাসুয়া নিয়ে তোকে আজ খুন করে ফেলবো এই বলে ধারালো হাসুয়া দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করলে আমার প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করি। আমার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। তার আগেই আমাকে তার হাতের হাসুয়া দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারে।পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে আলাউদ্দিন হাসুয়া ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, নুরেছন খাতুনের চিৎকারে আমরা ছুটে যেয়ে দেখি আলাউদ্দিন তাকে একটি হাসুয়া দিয়ে মারধর করছে। আমরা আলাউদ্দিনকে ঠেকানোর চেষ্টা করি এবং নুরেছন খাতুন কে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। নুরেছন খাতুনের ভাই আবেদ আলী জানান,আমার বোনকে আলাউদ্দিন হাসুয়া দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমরা তার চিকিৎসার জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। আমার বোন নুরাছন খাতুন ও আলাউদ্দিন সম্পর্কে সৎ ছেলে ও সৎ মা। তাদের বসবাস একই বাড়িতে হলেও সংসারে পৃথক। উল্লেখযোগ্য কোনো দোষ ছাড়াই আমার বোনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।।
আহত নুরেছন খাতুন এর স্বামী আফেল উদ্দিন জানান, আলাউদ্দিন আমার প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে। তারা খুব ছোট থাকতেই নুরেছন খাতুন কে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি। কয়েক বছর আগে আমার প্রথম স্ত্রী স্ট্রোক হয়ে মারা যায়। আমরা সকলে একই জায়গায় বসবাস করি । আজ হঠাৎ আমার স্ত্রীকে মারধর করে আমার বড় ছেলে আলাউদ্দিন। তবে কি কারণে মারধর করেছে তা জানিনা।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বজলুর রহমান জানান্ এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।