সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ও পঙ্গুত্ব বরণের মিছিল ক্রমইে বেড়ে চলেছে। কেউ হারাচ্ছে একমাত্র স্বজনকে, কেউ হারাচ্ছেন পরিবারের একমাত্র ভরসার অভিভাবককে। আবার পঙ্গুত্ব বরণ কওে শারিরীক প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু কোনমতেই থামানো যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা।
গত রবিবার মেহেরপুরে একটি পরিবারের একমাত্র সন্তান হারাতে হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনাতে। একই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন বাবাও। পরিবারটির অবস্থা কেমন যাচ্ছে সেটা সহজেই অনুমেয়। একই দিন পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় আরো ৬জন আহত হয়েছেন। জাতীয় পত্রিকাগুলো খবরে জানা গেছে, ওই দিন সারাদেশে আরো ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৭ জন। একদিনের এই পরিসংখ্যান নি:সন্দেহে ভয়াবহ চিত্রের কথায় স্মরণ করিয়ে দেয়।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে উপায় কি? কি ভাবে নিরাপদ ভাবনায় থাকবেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের একটি সদস্য কোন কাজে বাইরে গেছেন, সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে তাকে বাসায় ফেরত পাবেন কি না এনিয়ে প্রত্যেকেরই এখন দু:শ্চিন্তা। একটি প্রাণ চলে যায়, তার শোক বয়ে বেরাতে হয় পরিবারের সকলকে। পাশাপাশি যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেন তারা পরিবারের বোঝা হয়ে যায়। যা কখনোই সে নিজেকে বোঝাতে পারে, না পারে অন্য কাউকে। শারিরীক অক্ষমতা কতটা অসহায় করে তোলে একমাত্র তিনিই বোঝেন যিনি এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি? আমরা কি একটি নিরাপদ সড়ক পেতে পারি না। নিরাপদ সড়ক পেতে যে সকল ক্ষেত্রগুলোতে ভুমিকা রাখা দরকার আমরা কি সেগুলো করতে ব্যার্থ হচ্ছি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আমরা (জনগণ) যার যার অবস্থান থেকে নিরাপদ সড়কের কথা একটি বারও ভাববো না।
প্রত্যেকের নিজ অবস্থান থেকে যদি ভাবনার একটি জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয় অবশ্যই এই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভভ হবে। সড়কে অনিবন্ধিত মোটরযান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত রাখা এবং গাড়ি চালক ও পথচারী সকলের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করাতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে। পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহিৃত করে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করতে হবে।
মেপ্র/ইএম