হজ্ব করার জন্য কিছু টাকা জমিয়েছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল। সেসব টাকা দিয়েকরোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ ও অসহায়দের মাঝে ফ্রি মুদি দোকান ও সবজি বাজার চালুকরণ করে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মহত এমন কাজে অবাক করে দিয়েছে মানুষকে। ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হিসেবে এমন মহত কাজে মানুষের ভালোবাসায় পুলকিত হয়েছে তিনি।
শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার হাটশহরিপুর বাজার এলাকায় বিভিন্ন সবজির পসরা সাঁজিয়ে মানুষের মাঝে এসব বিতরণ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল।
করেনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়, দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘গ্রীন আর্কিটেক্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল পরিচালিত গ্রীণ চাইল্ড এর উদ্যোগে এই মহতি কাজের উদ্যোগ নেন। আর এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেন বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবকগণ।
ফ্রি বাজার করতে আসা অসহায় লোকজন তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ব্যাগ। স্বেচ্ছাসেবকগণ একে একে দোকানে থাকা মুদী সামগ্রী ও সবজিগুলো পরিমাণমতো ব্যাগে ভরে তাঁদের হাতে দিচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ ফ্রি সবজি বাজারে রয়েছে চাল, ডাল, আটা, তেল, ধবন, সাবারস. ভিমবার, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, মরিচ, ভেন্ডি, বাধাকপি।
নৌকার মাঝি মিলন আলী বলেন, করোনার কারনে নদীতে আর নৌকা নিয়ে যাওয়া হয় না। বেকার হয়ে পড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আজ সকালে ব্যাগভর্তি বাজার দিলেন ইঞ্জিনিয়ার টুটুল স্যার। ব্যাগ ভরে বাজার পেলেও কিন্তু কোনো টাকা লাগেনি। এতে করে আমার কয়েকটা দিন ভালোভাবে চলে যাবে।
মিজানুর রহমান লালন নামে ইবির শিক্ষার্থী বলেন, করোনা সংক্রমণে লকডাউন চলা কালে মানুষ ঘরে অবস্থান করায় তাঁদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল পরিচালিত গ্রীণ চাইল্ড এর উদ্যোগে এই ফ্রি মুদী ও সবজি বাজার এসব মানুষগুলোর খুব উপকার হবে।
পরিচালিত গ্রীণ চাইল্ড এর উদ্যোগে এসব মহতি কাজের উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। হজ্ব করার জন্য কিছু টাকা জমিয়েছিলাম আর কিছু প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ঋন করা টাকাগুলো দিয়ে এই চরম সংকটে অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার অভিপ্রায় থেকেই এসকল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা মাত্র। যার ফলশ্রুতিতে ভ্রাম্যমাণ ফ্রি মুদি দোকান ও সবজি বাজার বসিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, তিনি সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষাবৃত্তি, বৃক্ষরোপন সহ অনেক সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।