করোনাভাইরাস সংকটের কারণে এবার সীমিত পরিসরে হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদিতে অবস্থানকারী ছাড়া কেউ এবার হজ করতে পারবেন না। এ ঘোষণার পর চিন্তায় পড়েছেন বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার উদ্দেশে নিবন্ধন করা ৬৫ হাজার মুসল্লি। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই। নিবন্ধনকৃতরা চাইলে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই তাদের টাকা তুলে নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে টেলিফোনে তিনি যুগান্তরকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, যারা টাকা তুলবেন না, তারা আগামী বছর হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। যারা চাইবেন তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন।
ধর্মসচিব বলেন, টাকা ফেরত নিয়ে কোনো হয়রানির সুযোগ নেই। টাকা উত্তোলনে কারও সমস্যা যাতে না হয়, সে বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে রাখবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। যে কেউ না যেতে চাইলে টাকা ফেরত পাবেন। ব্যাংকে টাকা সঠিকভাবে গচ্ছিত আছে, হজে যেতে ইচ্ছুকদেরও ভয় নেই। তারা আগামী বছর অগ্রাধিকার পাবেন।
ধর্মসচিব জানান, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে কীভাবে টাকা ফেরত দেয়া হবে।
সোমবার সৌদির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী জানান, করোনা মহামারীর কারণে এবারের বছর বৃহৎ পরিসরে হজ আয়োজন হবে না। শুধু সৌদি আরবে বসবাসকারীরাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজে অংশ নিতে পারবেন।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের সময় ২৫ লাখ মুসলমানের অংশগ্রহণে সৌদি আরবে পালিত হয় ইসলাম ধর্মের অন্যতম ‘ফরজ’ হজ।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তে অন্যতম সৌদি আরব। এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি। প্রাণ গেছে ১ হাজার ৩০৭ জনের।
গত বছর মক্কা-মদিনায় হজ পালনের উদ্দেশে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ সৌদি আরবে যান। ধর্মীয় এই সমাগম দেশটির আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
এবার বাংলাদেশ থেকে ৬৫ হাজার ৫৯৪ জন হজে যেতে আগ্রহী ছিলেন। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে তাদের হজে যাওয়া হচ্ছে না। সুত্র-যুগান্তর